ভোট আসে, ভোট যায় কিন্তু আমরা যে তিমিরে সেই তিমিরে। দিনদিন বয়স জনিত কারণে শরীর অশক্ত হচ্ছে , দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে আসছে আর হয়ে পড়ছি পরের উপর নির্ভরশীল। মনটা এখনও সচল থাকাতে ভাবি যে আর নয়, এবার রুখে দাঁড়ানোর পালা। পরিচিত ব্যক্তিরা ভোটের স্লিপ দিতে আসেন এবং যথারীতি মুখে একগাল হাসি নিয়ে কেউ বাঁদিকে আবার কেউ ডানদিকে মাথা হেলিয়ে চোখের ভাষায় জিজ্ঞেস করেন ভাল তো? আরও একটা অনুচ্চারিত অনুরোধ একটু দেখবেন। এই মানুষটিকে কিছুতেই ফেলা যায়না। বিপদে আপদে এই বর্ষীয়ান মানুষটিই আপনার পাশে এসে দাঁড়ান। কোন কোন সময় মনে হয়, এইসমস্ত ভাল মানুষগুলো কেন একটা নিজেদের দল করেন না যাঁরা আমাদের মতন সাধারণ মানুষের পাশে সবসময়ই থাকবেন। হয়তো সবটাই অলীক কল্পনা। সেইকারণে ভোট দিতে গিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে যাই। কাকে ভোট দেব? নিজের বিবেক অনুযায়ী না পাশেথাকা সেই ভাল মানুষটির দলকে যার পরিবর্তন চাইছিলাম? শেষমেশ নিজের বিবেকের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে স্বার্থান্বেষী হয়ে সেই ভাল মানুষের দলকে যারা বছরের পর বছর সাধারণ জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে এসেছে। কে বিশ্বাসঘাতক? আমি না সেই দল?
Saturday, 10 April 2021
বিশ্বাসঘাতক
বেজে উঠেছে ভোটের দামামা। চারিদিকে সাজ সাজ রব। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নয়। নেতারা রয়েছেন নিজেদের জায়গায়। দল বলে একটা বস্তু আছে কিন্তু ওটা একটা ছাতার মতন। আমরা সবাই রাজা নিজেদের রাজ্যে, রয়েছে আমাদের নিজস্ব বাহিনী। প্রয়োজন মতো তাদের ব্যবহার হয় কেউ ট্যাঁ ফো করলে কিন্তু বেকায়দায় পড়লেই ঢুকে পড় সেই ছাতার তলায়। ছাতার মালিক তাদেরই সেখানে আশ্রয় দেয় যাদের নজরানা বেশ পছন্দ মাফিক হয়। নাহলে নিজের হ্যাপা নিজেই সামলাও। অনেকটাই সেই আগের দিনের রাজা, সামন্ত ও জমিদারের মতো। আমরা যারা শান্তিপ্রিয় নাগরিক, তাদের হয়েছে জ্বালা। না পারি এদের বিরুদ্ধাচরণ করতে, না পারি মন থেকে মেনে নিতে। সুতরাং গুমরে গুমরে মর।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment